google-site-verification=HlOR-ZCniyXbn_KC4fk676X6tF0kae_VCQab5EIitGY বাবুলের ২ সন্তানের জবানবন্দি গ্রহণ, স্বজনরা নাখোশ

Header Ads Widget

বাবুলের ২ সন্তানের জবানবন্দি গ্রহণ, স্বজনরা নাখোশ



মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির দুই শিশুর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণের সময় তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন বাবুলের স্বজনরা।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে হাজির হয়ে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক শিশুদের তিন ঘণ্টা সময় নিয়ে জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

তবে শিশু আইন লঙ্ঘন করে হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে অতিরিক্ত লোকজন নিয়ে বাবুলের সন্তানদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার।

২০২১ সালের ২৩ জুন বাবুলের দুই শিশু সন্তানকে মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এসে শিশু আইন মেনে জবানবন্দী গ্রহণের নির্দেশ দেন শিশু আদালত চট্রগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরা।

বাবুল আক্তারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া জানান, শিশু বাচ্চাদের বিরতিহীনভাবে ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে তিনি বাইরে এসে ১০ মিনিট পর মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে কক্ষে প্রবেশ করে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

ওয়াদুদ মিয়ার অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাইকোর্ট একজন তদন্ত কর্মকর্তা, একজন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা, মাগুরা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা ও শিশুদের দাদাকে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা সেখানে অতিরিক্তি পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম পিবিআইর এএসআই রাজিবকে সঙ্গে রাখেন। এ ছাড়া মেজবাহ নামে পিবিআই চট্টগ্রামের এক পরিদর্শক সকাল সাড়ে ৯টায় সমাজসেবা কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে আসা চাচি-ফুফুদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

বাবুল আক্তারের ছোট ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান জানান, এর আগেও বাবুলের সন্তান আক্তার মাহমুদ মাহিরের জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন সিএমপি মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামান।

হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, নতুন করে আবার তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাবুল আক্তারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তদন্ত সংস্থা।

তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ সাজানো এবং বানোয়াট।’

ঊর্ধ্বতন এক পিবিআই কর্মকর্তার নির্দেশে বাবুল আকতারের বিরুদ্ধে এসব করা হচ্ছে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে অন্যায়ভাবে বাবুলকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি। আমরা বাবুলের মুক্তি দাবি করছি এবং সম্পূর্ণ নতুনভাবে তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলার মূল পরিকল্পনাকারী কামরুল শিকদার মুছাকে পুলিশ গ্রেপ্তার না করে আড়াল করে রেখেছে। আমরা সরকারের কাছে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘মাহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে আমারা মাগুরার সমাজসেবা কার্যলয়ে এসেছি মিতু হত্যা মামলায় তার শিশু সন্তানদের স্বাক্ষ্য নিতে। যতটুকু প্রয়োজন আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।’

এর আগেও মাহিরের জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে একাধিকবার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা যায়।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন শিশু সন্তানকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্রগ্রামের জিইসির মোড়ে নির্মমভাবে খুন হন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। সে সময় আক্তার মাহমুদ মাহিরের বয়স ছিল ৬ বছর এবং কন্যা তাবাসসুমের বয়স ছিল ৪ বছর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত